স্বদেশ ডেস্ক:
কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে থেকে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। একই সাথে দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার কোম্পনীগঞ্জে হরতাল এবং শুক্রবার থেকে পুনরায় থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খানঁ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত রবিউল হকের প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তার আশ্রয়দাতা মিজানুর রহমান বাদল এবং ফখরুল ইসলাম রাহাতকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সবুজ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন এবং পৌর এলাকায় হরতালের ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মীরা বসুরহাট-বাংলাবাজার সড়কের থানার দুই পাশে বাস-ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়াও বসুরহাট বাজারের সকল প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখে দলীয় নেতা-কর্মীরা। এর ফলে কোম্পানীগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্নসহ বসুরহাট বাজারে অচল অবস্থা বিরাজ করে।